Friday, November 16, 2018

বিয়ের উদ্দেশ্যে প্রেম করা কি জায়েজ..??

বিয়ের উদ্দেশ্যে প্রেম করা কি জায়েজ..? 


পুরো পোস্ট টাই পড়ার জন্য অনুরোধ রইলো
উত্তরঃ বিয়ের আগে ভিন্ন পুরুষের সাথে প্রেম ভালোবাসা হারাম। বরং বিয়ের পর স্বামীর সাথে ভালবাসবেন →
.
প্রেমিকঃ - আমি তোমাকে ভালোবাসি।
.
প্রেমিকাঃ - আমিও তোমাকে ভালোবাসি।
.
শয়তানঃ - আর আমি তোদের দুই জনকেই
ভালোবাসি!
.
Reference : রাসুল (সাঃ) বলেছেন,
"যেখানে দু'জন বেগানা নারী-পুরুষ নির্জনে একত্রিত হয়, সেখানে তৃতীয়জন হয় শয়তান।"–
[সহীহ্ তিরমিযী, ১১৭১]
.
এখানে নির্জনে নারী-পুরুষ কে একত্রিত হতে স্পষ্টত নিষেধ করা হয়েছে।
.
এখন ধরুন, আপনি বা আমি যদি কারো সাথে মোবাইলে কথা বলি, সেটাও নির্জনে একত্রিত হওয়া নয় কি? কারন, আমরা মোবাইলে কথা বলার সময় নির্জনেই কথা বলি। নির্জনে
SMS আদান-প্রদান করি। এবং তখন দুজনের মধ্যে কোনোরুপ বাঁধা থাকে না। (যাদের প্রেম করার এক্সপেরিয়েন্স আছে তারা বিষয়টি ভালো ভাবেই বুঝবেন।
.
একসময় কথাবার্তা কতটা অশালীন মূহুর্তে পৌছায়)। যার দ্বারা মুখের ও অন্তরের যিনা হয়।
যা স্পষ্ট হারাম।
.
আল্লাহ বলেন, "তোমরা অশ্লীলতার ধারে কাছেও যেও না"–[আল ইসার ১৭:৩২]
এ বিষয়ে আরো দ্রষ্টব্য→ [সহিহ্ বুখারী: ৬৩৪৩ ও সহিহ্ মুসলিম:২৬৫৭]
.
অশ্লীলতা তো দূরের কথা, এক্ষেত্রে বিনা প্রয়োজনে শালীন ভাবে কথাবার্তা বলারও বৈধতা নেই মুহাররাম নারী-পুরুষের মধ্যে। না প্রেম হিসেবে, না বন্ধুত্ব আর না দোস্ত-দোস্ত বলে ডাকা। কোনোটার ই বৈধতা নেই।
.
আপনি কিভাবে অপর একটি মেয়েকে বা ছেলেকে "Love You Jan" বলার সাহস রাখেন..? আপনি তো মুসলমান তাইনা? একটা সাধারন মেয়ে বা ছেলে কিভাবে আপনার জান্ (জীবন) হতে পারে..?
আর যদি তাই হয়, তাহলে আপনি ১০০% শিরকের মধ্যে নিমজ্জিত আছেন।
.
ড. বিলাল ফিলিপ্স (রাহিমাহুল্লাহ্) বলেন, "স্রষ্টার চাইতে সৃষ্টিকে বেশি ভালোবাসার নাম ই শিরক।"
.
আপনি গার্লফ্রেন্ডের সাথে সারাদিনে ৩০-৪০ বার ফোন দিয়ে কথা বলছেন। কিন্তু নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর সাথে ৫ বার কথা বলার সময় পাচ্ছেন না। এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনি স্রষ্টার চাইতে সৃষ্টিকে বেশি পরোয়া করলেন। অবশ্যই অবশ্যই আপনি শিরক করলেন।
.
আবার কিছু ছ্যাঁকা খাওয়া পোলা-মাইয়া আছে। যারা প্রেমিক-প্রেমিকার স্মৃতিতে রাতে ঘুমাতে পারে না।
.
দিনের মধ্যে ৫-৭ টা ছ্যাঁকা খাওয়া পোষ্ট প্রসব করাই লাগবে ফেসবুকে। গার্লফ্রেন্ড-বয় ফ্রেন্ডের জন্য কেঁদে কেঁদে চোখ ভাসায়।
.
কিন্তু এইসব লাইলি-মজনুরা আল্লাহর কাছে একদিনও কাঁদে না। তারা কাঁদে না অত্যাচারিত মাজলুম রোহিঙ্গা ও সিরিয়া বাসীর জন্যও। এরাও শিরক করছে। আল্লাহর কাছে না কেঁদে, অবৈধ প্রেয়সীর জন্য
কাঁদছে।
.
সুতরাং কোনো non-মাহরাম (যার সাথে বিবাহ সম্পর্ক হালাল) নারী বা পুরুষের সাথে নির্জনে একত্রিত হওয়া যাবে না। না বাস্তবে, না virtual world এ, আর না মোবাইলে কথা বলার মাধ্যমে।
.
ইহা স্পষ্ট হারাম ও ব্যাভিচারের শামিল। ব্যভিচার না করেও আপনার আমলনামায় ব্যাভিচারের পাপ লিপিবদ্ধ হবে।
.
আর প্রেমবাজ শিরি-ফরহাদরা কিভাবে শিরকের মতো গুনাহ করছে, সেটাও স্পষ্ট।
আল্লাহ বলেন, "আমি আমার বান্দা দের যাকে ইচ্ছা তাকে ক্ষমা করবো, কিন্তু শিরকের গুনাহ
ব্যতীত।"--[আন নিসা, ৪৮]
.
অনেকে আবার পরিবারেরর অনুমতি নিয়েই প্রেম করে। ভবিষ্যতে তাদের বিয়ে দেওয়া হবে এরকমটা অনেক পরিবার থেকে ঠিক করে রাখা হয়।
.
আফসোস এসব মূর্খ পরিবারের জন্য!
যারা তাদের সন্তান কে যিনা করার অনুমতি দিয়ে দিলো এবং নিজেরাও যিনার পাপে জর্জরিত হলো। (প্রেম করা এবং অতীব প্রয়োজন ছাড়া কথা বলাও
যে ব্যভিচারের শামিল তা আগেই প্রমান করা হয়েছে)।
আরেকটা কথা মনে রাখা উচিৎ,
.
"বিয়ের উদ্দেশ্যে যদি প্রেম করা বৈধ হয়, তাহলে হজ্ব করার উদ্দেশ্যে ব্যাংক ডাকাতি করাও বৈধ।"
(নাউজুবিল্লাহ্)
.
অতএব, পরিবারিক, ব্যক্তিগত ও সামাজিক ভাবে প্রেম নামক ব্যভিচার কে প্রতিরোধ করুন।
.
ছ্যাকাঁ খাওয়া player গুলা প্রিয়/প্রিয়ার জন্য কান্নাকাটি বন্ধ করুন। জান, প্রান, টুনি পাখি
এমনকি দোস্ত বলে ডাকাও বন্ধ করুন।
এখনো সময় আছে আপু এগুলো অবৈধ প্রেম ভালবাসা বাদ দিয়ে আল্লাহর ইচ্ছেয় পরিবারের সিদ্ধান্তে বিয়ে করে বৈধ সম্পর্ক করুন, আল্লাহ্ ও রাসূলের সন্তুষ্ট হবেন।
হে বোন জীবন তো একটাই, এটাকে ভালবাসতে শিখুন, অবৈধ সম্পর্ক করে পরপুরুষের সাথে কথা না বলে আপনার পবিত্র শরীরকে না দেখিয়ে অপবিত্র না করে বৈধ সম্পর্কে জীবন গড়ুন।
এই বোন আপনি তো মুসলমান, একদিন কবরে যেতে হবে আল্লাহর সামনে হাজীর হতে হবে "কি জবাব দিবেন তখন!!! একটু চিন্তা করুন।
আর যারা অবৈধ সম্পর্ক করে বিবাহ করে এই বিবাহের মধ্যে আল্লাহর রহমত বরকত থাকে না।
আমরা তাদেরকে বাহ্যিক দৃষ্টিতে দেখি অনেক ভালো জীবন চলছে তাদের ....
কিন্তু না বোন একটু তাদের ভিতরে খবর নিয়ে দেখুন শুধু অশান্তির আগুন দাও দাও করে জ্বলছে।
তাই একজন মুসলিম ভাই হয়ে আমার দায়িত্ব ছিল বলার তাই বললাম এখন আপনার কর্তব্য হলো এগুলো মানা।
.
বিঃদ্রঃ এতসব জানার পরেও, শোনার পরেও কেউ যদি এ পথ থেকে ফিরে আসার চেষ্টা না করে, তাহলে বু্ঝতে হবে সে মুসলমান কি না তাতে সন্দেহ আছে। তার মুসলিম হওয়াতে ঘাটতি আছে।
.
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাকে সহ সবাইকে হেদায়েত নসিব করুন। তরুন-তরুনীদের পার্কের দিক থেকে দ্বীনি খেদমতের পথে ধাবিত হওয়ার তৌফিক এনায়েত করুন।
আমিন।

1 comment:

  1. যদি পোস্টটা ভালো লাগে তাহলে, একটা লাইক দিয়ে কমেন্ট করুন আপনার মতামত।

    ReplyDelete