Wednesday, November 28, 2018

হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর কয়েকটি উপদেশঃ

একমাত্র আল্লাহভীতির মাধ্যমে মানুষ ইহকাল ও পরকালের কষ্ট থেকে মুক্তি পেতে পারে। কেননা আল্লাহভীতি অসৎ এবং অসুন্দর পথ থেকে বান্দাকে বিরত রাখে। আর কুরআন পাঠ মানুষকে ইহলৌকিক ও পারলৌকিক কল্যাণের পথ দেখায়। সত্য, সুন্দর ও কল্যাণের প্রতি মানুষের মনে জায়গা করে দেয়।
হযরত আবুযর গিফারি (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি একদিন হযরত মুহাম্মদ (সা.) খেদমতে হাজির হলাম। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল, আমাকে নসিহত করুন। হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেন, আমি তোমাকে নসিহত করছি, তুমি আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর। কেননা এটা তোমার সব কাজ সুন্দর, সুষ্ঠু ও সৌন্দর্যমণ্ডিত করে দেবে। আবুযর বলেন, আমি আরও নসিহত করতে বললাম।
তখন তিনি বললেন, তুমি কুরআন মজিদ তেলাওয়াত করবে এবং আল্লাহকে সব সময়ই স্মরণে রাখবে। কেননা এই তেলাওয়াত ও আল্লাহর স্মরণের ফলেই আকাশ রাজ্যে তোমাদের উল্লেখ করা হবে এবং এই জমিনেও তা তোমার ‘নূর’স্বরূপ হবে।
আবুযর আবার বলেন, হে রাসূল! আমাকে আরও নসিহত করুন। তিনি বললেন, বেশির ভাগ সময় চুপচাপ থাকা ও যথাসম্ভব কম কথা বলার অভ্যাস কর। কেননা, এই অভ্যাস শয়তান বিতাড়নের কারণ হবে এবং দীনের ব্যাপারে এটা তোমার সাহায্যকারী হবে। আবুযর বলেন, আমি বললাম, আমাকে আরও কিছু নসিহত করুন। বললেন, বেশি হেসো না, কেননা এটা অন্তরকে হত্যা করে এবং মুখমণ্ডলের জ্যোতি এটার কারণে বিলীন হয়ে যায়। আমি বললাম হযরত, আমাকে আরও উপদেশ দিন। তিনি বললেন, সব সময়ই সত্য কথা ও হক কথা বলো- লোকদের পক্ষে তা যতই দুঃসহ ও তিক্ত হোক না কেন। বললাম, আমাকে আরও নসিহত করুন।
তিনি বললেন, আল্লাহর ব্যাপারে কোনো উৎপীড়কের উৎপীড়নকে আদৌ ভয় করবে না। আমি বললাম, আমাকে আরও নসিহত করুন। তিনি বললেন, তোমার নিজের সম্পর্কে তুমি যা জান, তা যেন তোমাকে অপর লোকদের দোষক্রটি সন্ধানের কাজ হতে বিরত রাখে। (বায়হাকী, শুআবিল ইমান)

No comments:

Post a Comment